News Report In Details

#38. চিকিৎসকের অবহেলায় পবিপ্রবির শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তারকে ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

5 days, 21 hours ago

নিজস্ব প্রতিবেদক।। ১৭ এপ্রিল, ২০২৫।।

খাজা ইউনুস আলি মেডিকেল কলেজ 

সেশন: ২০২১-২২

 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থী এইচএম আশিকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক এসএম শামীম আল আজাদকে ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালীতে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

চিকিৎসক এসএম শামীম আল আজাদ পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ছিলেন। 

জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আশিক দুমকি উপজেলার সরকারি জনতা কলেজ মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার পর পুকুরে গোসলে নেমে ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগে দীর্ঘ সময় কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। এমনকি আইসিইউ বিভাগেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ ছিলেন না। প্রায় ৪০ মিনিট পর চিকিৎসা শুরু হলে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। আশিকের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই দিন রাতেই পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে গিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। পরদিন লেবুখালী পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় সড়ক অবরোধ করে অভিযুক্তদের শাস্তি এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এ ঘটনায় ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। 

এদিকে ডা. শামীম আল আজাদ ওএসডির খবরে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, কেবল ওএসডি নয়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি রোধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ।

 

এদিকে এই ঘটনায় ডাক্তার সমাজের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে । নাক কান গলা বিভাগের প্রফেসর ড: আহমেদ লিংকন তার ফেসবুক প্রোফাইল এ লিখেছেন যে ছেলে সাঁতার জানেনা সে গভীর পানিতে নামে কিভাবে? পানিতে তলিয়ে যাবার পর ৮/১০ মিনিট তাকে পাওয়াই যায়নি। পানি থেকে উঠানোর পর তার রক্তবমি হল যা ড্রাউনিং কেসে খুব অস্বাভাবিক ঘটনা। এরপর হাস্পাতালে আনার পর এক্সপার্ট নার্সরাও তার ভেইন খুঁজে পায়নি। ডাক্তারকে কল করার পর তিনি ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে এসে হাজির হন, কিন্তু মৃত্যুর সব দায় যথারীতি ডাক্তারের উপরই চাপানো হল। সবকিছুর বলির পাঁঠা ডাক্তারদের বানানোর সংস্কৃতি নিয়েই স্বাস্থ্য সেক্টর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

রোগী প্রথমে ভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে যায়, সেখান থেকে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় রোগীকে, এতে কতটা সময় নষ্ট হয়েছে। সাঁতার না জানা ছেলেকে কেন গভীর পানিতে নামাল তার বন্ধুরা এটাই সন্দেহজনক। পূর্ন তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে হবে।