নিজস্ব প্রতিবেদক।। ১৪ এপ্রিল, ২০২৫।।
খাজা ইউনুস আলি মেডিকেল কলেজ সেশন: ২০২১-২২
পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় সেগমেন্টালসিস্টেম চালু করার ১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ডাক বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক ফোরামের
পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় ট্রেইনীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খিত সেগ মেন্টাল সিস্টেম চালু করার ১ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক ফোরাম (বৈচিফ)। এ লক্ষ্যে ১৫ এপ্রিল তারা মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ডাঃ সামিউর রশিদ রিফাত এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুল হাসান নয়ন। জনস্বার্থে প্রেস বিজ্ঞপ্তি টি হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো:
তারিখ : ১০ / ০৪ / ২০২৫ ইং
বরাবর
বার্তা সম্পাদক
সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া।
মহোদয় , জনস্বার্থে নিম্নোক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি হুবুহু শিরোনামে আপনার বহুল প্রচারিত প্রিন্ট / ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ /প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সবিনয় অনুরোধ রইল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
BSMMU অধীনস্থ একজন এমডি/এমএস/ ডিপ্লোমা / এমফিল/ এম পি এইচ ফাইনাল পরীক্ষার্থী Written / OSPE / ORAL/CLINICAL যে সেগমেন্টে অকৃতকার্য হবে, শুধু সেই সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করে কোর্স সম্পন্ন করার যৌক্তিক সুযোগ প্রদানের নেপথ্য ব্যাখ্যাসম্বলিত বিশ্লেষণ নিম্নরূপ:
• অধিকাংশ ডিসিপ্লিনে পাশের হার খুবই কম, এমন কি কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কিছু সাবজেক্টে পাশের হার শূন্য(০%) শতাংশ পর্যন্ত আছে।
• যেখানে বাংলাদেশের উপজেলা, জেলা এমনকি বিভাগীয় স্তরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল, সেখানে এভাবে অকৃতকার্যের(Fail) হার বজায় থাকলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা হুমকির সম্মুখীন হবে শীঘ্রই। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ তৈরি না হলে বিশেষজ্ঞ সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া অসম্ভবপর।
• সেক্ষেত্রে সেগমেন্টাল পাশ হলে পাশের হার স্বয়ংক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বেড়ে যাবে।
• সেগমেন্টাল পাশের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর উপর চাপ কমবে, সুচারুরূপে অকৃতকার্য অংশের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেয়া যাবে।
• পরীক্ষার্থীর গুণগত মান বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। কারণ যে পরীক্ষার্থী লিখিত ও OSPE পাশ করলো, কিন্তু ক্লিনিক্যাল পাশ করতে পারলো না, সে যদি পরবর্তী পরীক্ষা শুধু ক্লিনিক্যাল এর প্রস্তুতি নেয়, তাহলে প্রস্তুতি অধিক সুসংহত ও আত্মবিশ্বাসীপূর্ণ হবে।
• যে বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, যে পরীক্ষার্থী একবার যে সেগমেন্ট কৃতকার্য হলো এবং অভিজ্ঞ বিচক্ষণ পরীক্ষক মহোদয়বৃন্দের সুনিপুণ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৬০% নম্বর পেয়ে পাশ করলো, সেহেতু পরবর্তীতে অন্যান্য অকৃতকার্য বিষয়ের সাথে উক্ত কৃতকার্য বিষয়ে পুনরায় অংশগ্রহণ করাটা স্যারদের মূল্যায়নের প্রকারান্তরে অবমূল্যায়ন করা এবং সময় শ্রম ও সামগ্রিক সিস্টেম লস।
• একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরী যে- আমাদের দেশের স্বনামধন্য একটি ডিগ্রী FCPS এ Written পাস করলে পরপর দুইবার ক্লিনিকাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কররা প্রয়োজন পড়ে না(অর্থাৎ সেগমেন্টাল পাশ রয়েছে) অথচ আমাদের MD/MS/Diploma/M PHILL/MPH পরীক্ষায় এ ধরনের কোন সুযোগই নাই , যা একটি চরম বৈষম্য।বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর র্মার্কশীট থেকে পরিসংখ্যানগত উপাত্ত নিয়ে সেগমেন্টাল পাশের জন্য একটি স্ট্রাকচারড ফরম্যাট ইত্যবসরে বৈচিফ Bangladesh Medical University (BMU) এর প্রায় ৮০ টি অনুষদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, প্রোভিসি একাডেমিক, প্রোভিসি গবেষণা এবং উপাচার্য মহোদয় অধ্যাপক ডা: শাহীনুল আলম স্যার কে প্রদান করেছে।
• বিএমইউ অধীনস্হ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সসমূহে অকৃতকার্যের এই পরিকল্পিত দুষ্ট চক্র আর এভাবে চলতে পারে না।আগামী ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ মংগলবার দুপুর ১১.৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর বি ব্লক মিলন অডিটোরিয়াম এর সম্মুখে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি প্রত্যাশা করছে।
• সেগমেন্টাল পাশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এটাই হবে সর্বোচ্চ আন্দোলন, যেখানে বৈচিফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন বৈষম্য এবং সকল এক নায়ক পরীক্ষক দের যথেচ্ছাচারিতার নৈরাজ্য দেয়াল ভাংগতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। কোর্স আউট আন্দোলনের চেয়েও কয়েকগুণ শক্তিশালী এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোলন সফল করত বৈচিফ সকল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ভাই বোনবৃন্দদের সবিনয় অনুরোধ ও সংগ্রামী আহ্বান জানাচ্ছে।
বার্তা প্রেরক:
ডা: সামিউর রশিদ রিফাত, সভাপতি, বৈচিফ ডা: মাহমুদুল হাসান নয়ন, সাধারণ সম্পাদক, বৈচিফ